অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে ছিলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি। এবার তাঁকে বসানো হলো তৃণমূল দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে। এতে খুশি অভিষেক নিজেও। এই পদ পাওয়ার পর তিনি বলেন, মানুষের কল্যাণের জন্য তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করে যাবেন। তবে নিজের জন্য নয়, দলের জন্য।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল সোমবার তৃণমূলের রাজ্য দপ্তর তৃণমূল ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন, শুধু মন্ত্রিত্ব নয়, প্রশাসনের কোনো পদে বসবেন না তিনি। তাঁর লক্ষ্য হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে দেশব্যাপী বিস্তৃত করা। এই লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করবেন।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাঁর মূল লক্ষ্য হবে বিজেপির হাত থেকে দেশ এবং সংবিধানকে রক্ষা করা। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলে কোনো সেকেন্ড বা থার্ড ম্যান নেই। নেত্রী একজনই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি আমরা সবাই কর্মী।’

অভিষেক একটানা সাত বছর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের দায়িত্ব পালন করার পর এবার দলের দায়িত্ব নিলেন। এবার দলকে গোটা দেশে শক্তিশালী করার জন্য ছুটবেন এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে। তবে তিনি প্রথমেই চোখ করেছেন বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোয়। এখন ভারতের ১৩টি রাজ্যে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। কংগ্রেস তিনটি রাজ্যে।

অভিষেক বলেন, তৃণমূল যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে বিদায় দিয়েছে, সেভাবেই অন্যান্য রাজ্য থেকে হটিয়ে তৃণমূলকে শক্তিশালী করা হবে। তাদের লক্ষ্য থাকবে দিল্লির ক্ষমতার অলিন্দে পা রাখার।

এখন ভারতের শাসনক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। ৫৪৪ আসনের লোকসভায় বিজেপির আসন ৩০১টি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ুর ডিএমকে। তাদের আসনসংখ্যা ২৪। ২২টি করে আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ও তেলেঙ্গানায় ওয়াইএসআর কংগ্রেস। এরপর চতুর্থ স্থানে রয়েছে বিহারের সংযুক্ত জনতা দল। তাদের আসনসংখ্যা ১৬।